ত্যাগ


মাছবাজার

     মাছবাজারে গিয়েছিলাম মাছ কিনতে। বাইকটা সাইড করে রেখে একটা দোকানের সামনে গেলাম। দেখলাম ডেকচিতে জলের মধ্যে একটা বড় দারুণ রুইমাছ সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে। মেয়ে বলে দিয়েছে বড় দেখে জ্যান্ত রুই আনতে।

     আমি দোকানদারকে শুনিয়ে আগ্রহের সাথে বললাম, ‘এই যে পাওয়া গেছে। জ্যান্ত রুই। দারুণ মাছ। এটার কিলো কত করে?’

     দোকানদার করুণার সুরে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে দেখিয়ে আমায় বলল, ‘এটা এই দাদা নেবে বলে আমাকে বলে রেখেছে।’

     ওই ব্যক্তি বললেন, ‘না না, আপনি নিন। আমি অন্য মাছ দেখছি।’

     আমি ভদ্রতাবশত বললাম, ‘না না, আপনি আগে বলে রেখেছেন। আপনি নিন।’

     ব্যক্তি বললেন, ‘আপনি নিননা। আমার কোনও অসুবিধে নেই। আমি অন্য দোকানে দেখছি। পেয়ে যাব। নিন আপনি নিন।’ তারপর দোকানদারকে বললেন, ‘এই ভাই মাছটা দাদাকে দাও।’

     ব্যক্তিটি চলে গেলেন। আমি অবাক হয়ে গেলাম। উনি আশা করে মাছটা বেছেছিলেন। আমার জন্য রেখে চলে গেলেন। নিলেন না।

     হয়ত আমার শিশুকন্যাটার বড় জ্যান্ত রুইমাছ খাবার প্রত্যাশাটা ওঁকে ছুঁয়েছিল, যেহেতু কথাটা আমি তাঁর সামনেই বলেছিলাম... 

     এভাবেই পৃথিবীর সংসারে কত মানুষ কত মানুষের জন্য নিত্য ছোটো ছোটো ত্যাগ করে চলেছেন। তাই জগৎ এত সুন্দর। তাঁরা মহান।


বার্তা - ত্যাগ মহৎ গুণ।


Image Source : Pixabay


আরও পড়ুন:

গল্প : মোবাইলে মুশকিল 👇

https://www.golpochura.com/2025/10/blog-post.html?m=1



Comments

  1. প্রিয় পাঠক, গল্পটি পড়ে কেমন লাগল জানাবেন অনুগ্রহ করে।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

মোবাইলে মুশকিল

আঁখিতে প্রেম