Posts

Showing posts from October, 2025

ব্যথা নিষ্কাশন

Image
    আজ আমার মনটা বিশেষ কারণে ভারাক্রান্ত। কী কারণে ভারাক্রান্ত তা এখানে উল্লেখ করতে চাই না। যদি আউটলাইন দিতে বলেন, তাহলে বলতে পারি একান্ত ব্যক্তিগত। সংসারী মানুষের মন এক এক সময় এক এক রকম হয়ে যায়, কেননা সংসারে আছে নানান ধরনের, নানান তীব্রতার ঘাত ও প্রতিঘাত। আমি কেবল এটুকুই বলতে পারি আমার মনের অবস্থা ভালো না।     মন খারাপ থাকলে কি কিছু ভালো লাগে। বই পড়া, গান শোনা, গল্প করা, খাবার খাওয়া— কিচ্ছু ভালো লাগে না। আমি যেহেতু শিক্ষিত মানুষ, তাই আমি সমস্যা নিয়ে পড়ে থাকাটা পছন্দ করি না। ভাবতে লাগলাম মনের এ তীব্র বেদনা কীভাবে মন থেকে বার করে দিয়ে একটু হালকা হওয়া যায়।     আব্বা বেঁচে থাকতে আমায় প্রায়শই বলতেন, ‘যখন মন খারাপ থাকবে, মনের সব কথা একটা সাদা কাগজে লিখবি মনি। তারপর কাগজটা ছিঁড়ে ফেলে দিবি।’ ছিঁড়ে ফেলতে বলেছিলেন এই কারণে পাছে অন্য লোকেরা আমার এই কথাগুলো জেনে যায় এবং আমার প্রাইভেসি নষ্ট হয়ে পড়ে তাই।      আব্বার এই কথাটা মনে পড়তেই একখানা মোটা খাতা বার করে মনের সব দুঃখের কথা যা যা এই মুহূর্তে মনে আসছে এবং যেগুলোর দরুন আমার মনের শান্তি ব্যাহত সেগুলো সুন...

মনসংযোগ

Image
     রিমি বাবাকে বলল, ‘বাবা আমি পড়ায় মনসংযোগ করতে পারছি না। আমাকে এই প্রবলেম সলভ করে দাও।’      বাবা একটু ভেবে নিয়ে বললেন, ‘তুই রোজ পড়তে বসার আগে তিন মিনিট করে মেডিটেশন করে নিবি। এই সময় কোনো একটি নির্দিষ্ট দৃশ্যের কথা ভাববি। শুধু সেইটার কথা ভাববি। আর কিছু না। একেবারে স্থির হয়ে বসে।’      পরেরদিন রিমি পড়তে বসার আগে তাই করল। ঠিক বাবা যেমন যেমন বলে দিয়েছিলেন। ও একটা গোলাপ ফুলের দৃশ্য মনে-মনে চিন্তা করল কয়েক মিনিট। দেখল এইভাবে মেডিটেশন করে ওর কনসেনট্রেশান ভালো তৈরি হল। পরেরদিন একই কাজ। আবার কনসেনট্রেশান তৈরি হল।      বাবাকে বলল, ‘বাবা মেডিটেশন সত্যিই ভালো ফল দেয়।’      বাবা মুচকি হাসলেন।  বার্তা - মেডিটেশন মনসংযোগ বাড়ায়। Image Source : Pixabay আরও পড়ুন: গল্প: একমাত্র নীতি 👇 https://www.golpochura.com/2025/10/blog-post_64.html?m=1 গল্প: সবচেয়ে মূল্যবান 👇 https://www.golpochura.com/2025/10/blog-post_17.html?m=1

সফলতার নীতি

Image
     বিজন একজন সাধারণ ছেলে ছিল। কয়েকবছর আগে সে একজন বড় বিজনেসম্যানে পরিণত হয়েছে। এই গ্রামে তার দুটো বাড়ি। শহরে দুটো ফ্ল্যাট। রয়েছে তিনখানা ফোর হুইলার। ব্যাঙ্কে বিশাল অঙ্কের অর্থ।      নবগ্রামে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। লোকে তাকে অত্যন্ত সমীহ করে চলে। গ্রামে বিচার-সালিশি বসলে গ্রামের মানুষজন তাকে ডাকে।       বিজন শিক্ষিতও। এম এ পাস। ব্যবসা বলতে ও চানাচুর তৈরি করে। ওর ‘স্বাদ’ নামক ব্রান্ডের চানাচুর এখন বলতে গেলে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে।       আজকে সকালবেলায় টিভি চ্যানে ল থেকে লোক এসেছিল। ওর একটা ইন্টারভিউ নেবার জন্যে। কী করে ও এত বড় হল সেটা জানার জন্য।      সাংবাদিকদের আগমনে ২৪ বছরের ছেলে বিজন একটু মুচকি হাসল মনে-মনে।      প্রথমে কুশল বিনিময় হল তাঁদের সাথে। তারপর বিজন ও ওর মা ওদের মিষ্টান্ন ও ঠাণ্ডা পানীয় সহযোগে সুন্দর আপ্যায়ন করলেন ওঁদের।      এবার বিজনের বেডরুমে শুরু হল ইন্টারভিউ পর্ব।       সাংবাদিক মেয়েটি ওর মুখের সামনে মাইক্রোফোন ধরে প্রথমেই বলল, ‘বিজনবাবু ‘...

বার্ধক্য

Image
     রাস্তার বামপাশ ধরে এক বৃদ্ধ মাটিতে লাঠি ঠুকে ঠুকে যাচ্ছেন। বিধান আর ওর তিন বন্ধু রাস্তার সেইপাশেই দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে। প্রত্যেকের হাতে একটা করে মাটির খুলি আর একটা করে মোটা বিস্কুট। ভাঁড়ে করে চা খাওয়ার তৃপ্তি আলাদা।      ঘন্টা দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে। এমন সময় বৃদ্ধ এসে ওকে হালকা ধাক্কা মারলেন। হাত থেকে কিছুটা চা ওর পড়ে গেল। বৃদ্ধ চোখে কম দেখেন। বয়স হয়েছে।      ঘন্টা রেগে কাঁই, ‘ব্যাটা বুড়ো কোথাকার। দেখে হাঁটতে পারো না।’      বৃদ্ধ মাথা তুলে শুধু বললেন, ‘তুমিও একদিন হবে।’      অতনু পাশেই ছিল। ঘন্টাকে বলল, ‘ভাই এটা ঠিক করলি না। পাঁচ টাকা দিলে একটা চা পাওয়া যায়। তুই ওনাকে এসব বলতে গেলি কেন? তুই কি জানিস না, আমরাও একদিন বয়স্ক হব। আমাদেরও শরীর ভেঙে যাবে, চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাবে। আমরাও একদিন মারা যাব। তুই বল, আমরা কি সারাজীবন এরকম ইয়াং থাকব? আমাদেরও তো ওইরকম দশা হবে। তাহলে এত অহংকার কেন করিস ভাই? আর তুই কি জানিস না, বয়স্ক মানুষদের আশীর্বাদ যেমন ঈশ্বর গ্র‍্যান্ট করে নেন, একইভাবে তাঁদের অভিশাপও তিনি গ্র‍্যান্ট করে নেন। ওই...

একমাত্র নীতি

Image
     জিমি ওর বাবাকে আজ বলল, ‘বাবা, তুমি তো আমাকে আজ অবধি অনেক উপদেশ দিয়েছ। অত উপদেশ আমি মনে রাখতে পারি না। ফলে মেনে চলতেও পারি না। তুমি আমাকে শুধু একটা উপদেশ দাও, যেটা আমি মেনে চললে আমার অনেক উপকার হবে।’      ক্লাস ফোরে পড়া ছোট্ট জিমির কথা শুনে বাবা হাসলেন। বললেন, ‘ঠিক আছে, আমি তোকে জাস্ট একটাই উপদেশ দেব। সেটা তুই পালন করবি। দেখবি তুই জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সফল হবি। সেটা হল— সবসময় সত্যি কথা বলবি।’      সোৎসাহে জিমি বলল, ‘মানে বাবা তুমি বলতে চাইছ— Honesty is the best policy -র কথা?’      ‘একদম তাই,’ বাবা বললেন।       জিমি সেই থেকে সবসময় সত্য কথা বলে। মিথ্যা কখনও বলে না।      এটা আজ থেকে ষোলো বছর আগের ঘটনা।      জিমি এখন একজন MBBS , MD ডাক্তার।  বার্তা - শুধুমাত্র সততা দিয়েই একজন অনেক উপরে উঠে যেতে পারে।  Image Source : Pixabay আরও পড়ুন: গল্প : সবচেয়ে মূল্যবান 👇 https://www.golpochura.com/2025/10/blog-post_17.html?m=1

About

Image
     মনসুর আলি মূলত বাংলা গল্প, উপন্যাস লেখেন। এই পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রিকায় যেমন বর্তমান, বাংলা স্টেটসম্যান, সুখবর, এবং বহু লিটিল ম্যাগাজিন ও ওয়েব ম্যাগাজিনে এই লেখকের অসংখ্য গল্প প্রকাশিত হয়েছে। ‘গল্পচূড়া’ শীর্ষক এই ব্লগটিতে লেখক মনসুর আলি প্রকাশ করে চলবেন তাঁর রচিত নানান স্বাদের ছোটদের ও বড়দের নানান ধরনের গল্প। প্রিয় পাঠক, ব্লগের হোমপেজের ওপরে বামদিকে ড্রপডাউন মেনুতে স্পর্শ করলে গল্পের শ্রেণিগুলি পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দ মতো গল্প ওপেন করে পড়তে পারবেন। আর হ্যাঁ, পড়া শেষ হলে কেমন লাগল কমেন্ট বক্সে জানালে লেখকের ভালো লাগবে। আর যদি লেখকের সাথে প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে চান তাহলে হোমপেজের ওপরে CONTACT US এ ক্লিক করে Form এ লিখে Submit বাটনে ক্লিক করবেন।       আর-একটা কথা, এই ব্লগের বিশেষত্ব হল -      সহজ ভাষায় জীবনঘনিষ্ঠ গল্প – যেখানে আছে জ্ঞান, অনুপ্রেরণা আর বিনোদন।      আপনাদের সবার মঙ্গল কামনা করে এখানেই আপাতত কলম রাখলাম। পরের পরিচয় হবে গল্পে গল্পে --- শুভেচ্ছান্তে — বিনয়াবনত  লেখক

আশীর্বাদ

Image
     সুকান্ত স্কুল থেকে ফিরছে। মুন্সিগঞ্জ প্ল্যাটফর্মে উঠে স্টেশনের বড় আয়তক্ষেত্রাকার কালো ডিজিটাল ঘড়িটার দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করে দেখল ট্রেন আসতে এখনও বারো মিনিট বাকি।      ও প্ল্যাটফর্মের শেডের বামদিকের চায়ের দোকানটার সামনে এল। অল্প অল্প শীত পড়েছে। এইসময় এককাপ চা মানে দারুণ ব্যাপার।       যেতেই এক সাদা শাড়ি পরা শীর্ণকায়া ভিখারিণী ওর সামনে এসে বলল, ‘বাবা এককাপ চা খাওয়াবে?’      সুকান্ত একবার তাকিয়ে দেখল তাঁর দিকে। তারপর দোকানীর দিকে ফিরে বলল, ‘এনাকে এককাপ চা দিয়ে দাও।’      চাঅলা সাথে-সাথেই চা দিল। চা-টা হাতে নিয়ে ভিখারিণী সুকান্তকে আশীর্বাদ করল, ‘বাবা ঈশ্বর তোমার অনেক সুখ-শান্তি দিক।’      শুনে সুকান্তর ভালোই লাগল। মনে তৃপ্তি অনুভব করল।      এই ঘটনা কাউকে ও বলেনি। এমনকী ওইদিন প্ল্যাটফর্মে হাজির ওর কোনও কলিগকেও না।      বাড়ি ফিরে মুখহাত ধুয়ে দুটো ভাত খেল। এই সময়ে ও ভাত খায় না। স্কুলে রান্না হয়। ক্যান্টিন মতো আছে। সেখানে খায়। ফলে বাড়ি ফিরে ভাত খাওয়ার দরকার হয় না। সন...

Privacy Policy

Privacy Policy for Golpochura.com Effective Date: October 16, 2025 Golpochura.com (We) respects your privacy and is committed to protecting it. This Privacy Policy explains how we collect, use, and safeguard your information when you visit our website. 1. Information We Collect Personal Information: We do not actively collect personal information unless you contact us via forms or email. Non-Personal Information: We may collect non-identifiable information like browser type, device, IP address, and pages visited for analytics purposes. 2. Cookies Our site may use cookies to enhance user experience and track site performance. You can disable cookies in your browser settings, but some features may not function properly. 3. Use of Information We may use the collected information to: Impove website content and user experience Monitor website performance Respond to inquiries or messages 4. Third-Party Services We may use third-party services like Google AdSense, Google Analytics, and other ...

Disclaimer

     The content on Golpochura.com is for entertainment and informational purposes only. All characters, names of places and events depicted in the stories of this blog are fictitious and have no similarity with reality. Any resemblance to actual persons, living or dead, or actual events is purely coincidental. We do not guarantee accuracy and are not responsible for any outcomes from using the content. All stories are copyright protected. External links are used at your own risk.

সবচেয়ে মূল্যবান

Image
     আব্বাসের শিক্ষক বাবা রহমানবাবু আব্বাস ও তার দশ-বারোজন বন্ধুদের নিয়ে গল্পের আসর বসিয়েছেন সন্ধ্যাবেলায় তাঁর বাড়ির করিডরে।       রহমানবাবু পাঁচখানা গল্প বলার পর বললেন, ‘এই ছেলেমেয়েরা, এইবার আমি তোদের একটা প্রশ্ন করব। যে ঠিক উত্তর দিতে পারবি তাকে (একখানা নীল রঙের কলম হাতে করে উঁচু করে) এই কলমখানা প্রাইজ দেব।’      ‘বলো কাকু বলো,’ ছেলেমেয়েরা উদগ্রীব হয়ে উঠল।      ‘বল দেখি পৃথিবীতে সবচেয়ে দামি কী?’ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন রহমানবাবু।      ‘কেউ বলল ‘মা’, কেউ বলল ‘বাবা’, কেউ বলল ‘টাকা’, কেউ ‘প্রাণ’, কেউ ‘সম্মান’, কেউ ‘বাড়ি’, আবার কেউ বলল ‘ধর্ম’, কেউ বলল ‘ভালোবাসা’, আরও কত কী।      একটি ছোট্ট মেয়ে, নাম তার মিলি, সে বলল, ‘কাকু সঠিক উত্তর হবে সময়। কারণ যে সময় চলে যায় সে আর ফিরে আসে না।’      রহমানবাবু ‘সাব্বাস বেটি সাব্বাস!’ বলে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠলেন। তারপর বললেন, ‘এই নাও মা তোমার পুরস্কার।’ বলে সুন্দর নীল কলমখানা ওর দিকে বাড়িয়ে দিলেন।  বার্তা - সময়ের চেয়ে মূল্যবান কিছু হয় না। Image Sour...

ত্যাগ

Image
     মাছবাজারে গিয়েছিলাম মাছ কিনতে। বাইকটা সাইড করে রেখে একটা দোকানের সামনে গেলাম। দেখলাম ডেকচিতে জলের মধ্যে একটা বড় দারুণ রুইমাছ সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে। মেয়ে বলে দিয়েছে বড় দেখে জ্যান্ত রুই আনতে।      আমি দোকানদারকে শুনিয়ে আগ্রহের সাথে বললাম, ‘এই যে পাওয়া গেছে। জ্যান্ত রুই। দারুণ মাছ। এটার কিলো কত করে?’      দোকানদার করুণার সুরে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে দেখিয়ে আমায় বলল, ‘এটা এই দাদা নেবে বলে আমাকে বলে রেখেছে।’      ওই ব্যক্তি বললেন, ‘না না, আপনি নিন। আমি অন্য মাছ দেখছি।’      আমি ভদ্রতাবশত বললাম, ‘না না, আপনি আগে বলে রেখেছেন। আপনি নিন।’      ব্যক্তি বললেন, ‘আপনি নিননা। আমার কোনও অসুবিধে নেই। আমি অন্য দোকানে দেখছি। পেয়ে যাব। নিন আপনি নিন।’ তারপর দোকানদারকে বললেন, ‘এই ভাই মাছটা দাদাকে দাও।’      ব্যক্তিটি চলে গেলেন। আমি অবাক হয়ে গেলাম। উনি আশা করে মাছটা বেছেছিলেন। আমার জন্য রেখে চলে গেলেন। নিলেন না।      হয়ত আমার শিশুকন্যাটার বড় জ্যান্ত রুইমাছ খাবার প্রত্যাশাটা ওঁকে...

দরকার ডিসিপ্লিন

Image
     সুমিত আর অনন্ত দুই বন্ধু। কতকাল আগের সম্পর্ক। বন্ধুত্ব সমান ব্যক্তিত্বের মধ্যে হয়ে থাকে সাধারণত। চালাকের সাথে চালাকের, বোকার সাথে বোকার, শিক্ষিতের সাথে শিক্ষিতের, অশিক্ষিতের সাথে অশিক্ষিতের। কিন্তু এরা ছিল দুটি ভিন্ন মানুষ।       সুমিত ছিল পুরোপুরি ডিসিপ্লিনড। আর অনন্ত ছিল পুরো আনডিসিপ্লিনড।      সেদিন ফার্মেসিতে গিয়েছিল দুজন একসাথে। সুমিত বলল, ‘অনন্ত তুই কাফ সিরাপ নিবি। আমার জন্য একটা মাথাব্যথার ওষুধ নিস।’      দোকানে ভিড়। অনন্ত সবার পিছন থেকে চিল্লে উঠল, ‘একটা ভালো কাফ সিরাপ দিন। আর দুটো মাথাযন্ত্রণার ট্যাবলেট।’      ফার্মেসিতে তিনজন কর্মী ছিল। কেউ পাত্তা দিল না। যেন তারা অনন্তর কথা শুনতেই পায়নি।       অনন্ত সুমিতকে বলল, ‘দেখছিস সেলসম্যানগুলো কেমন গাধা। শুনলই না আমার কথা!’      সুমিত শান্ত ভাবে বলল, ‘তোর ভুল হচ্ছে। আমাদের আগে কতজন দাঁড়িয়ে আছে দ্যাখ। ওরা আমাদের চেয়ে আগে এসেছে। ওদের কেউ কেউ অনেক আগে এসেছে। ওরা নিক। আমরা লাইনে দাঁড়াই। আমাদের পালা আসলে আমরা চাইব। দোকানদা...

আঁখিতে প্রেম

Image
     কুহেলি আর সৃজিতা কলেজ থেকে সন্ধেবেলায় বাড়ি ফিরছে। বিদ্যাসাগর কলেজে ইংলিশ অনার্স পড়ে এরা দুই বান্ধবী। কলেজ সেরে ফিরতে-ফিরতে এই শীতের দিনে সন্ধেই হয়ে যায়।      সবে পাইকপাড়া মানে ওদের পাড়ার সীমানায় পা দিয়েছে, সৃজিতা কুহেলিকে উচ্ছ্বসিত সুরে বলল, ‘এইবার তোর মন-ভালো পাগলার দেখা মিলবে। পাড়ায় ঢুকে গেছি যে। আর সামনেই যে আমাদের সোনালি সঙ্ঘ। দেখবি'খন সে এতক্ষণ হয়ত ক্লাবের মাচায় বসে সিগারেট টানছে।’      কুহেলি বলল, ‘কী করে বলল সেদিন, তোমায় দেখলে আমার মন ভালো হয়ে যায়!’      সৃজিতা বলল, ‘ছেলেটা মন্দ নয়। বিহ্যাভিয়ার ভালো। পাড়ায় সুনাম আছে। কোয়ালিফায়েড এবং প্রতিষ্ঠিত।’      কুহেলি বলল, ‘ওদের বড় বিজনেস বল?’      সৃজিতা বলল, ‘যারা কাজের গ্ল্যামার দেখে তাদের কাছে ওদের দাম নেই। ওরা শপিং মল বা নামী রেস্টুরেন্টের মালিক নয়। তবে ওরা কৃষিজ সার বিক্রি করে ওদের দোকান থেকে যা আয় করে, আমার যতদূর জানা আছে পাঁচজন চাকরিজীবীর যা মোট ইনকাম তার চেয়ে ওদের ইনকাম বেশি। তুই হ্যাঁ-টা বলেই দে। ও তো তোকে প্রপোজ করেইছে। তুই ব্যাপারটা গু...

মোবাইলে মুশকিল

Image
     আজ সন্ধেয় ফ্যামিলির সাথে বাজারে গিয়েছিলাম একটু কেনাকাটা, খাওয়াদাওয়া করব বলে। পুরাতন বাজার আমার বাড়ি থেকে বেশি দূরে না।       মেয়েরা আর ওদের মা শপিং মলে ঢুকল। আমি রাস্তার ধারে স্কুটির পাশে দাঁড়িয়ে আছি। রাস্তায় লোকজন গাড়িঘোড়া চলেছে।       অনেকে হেঁটে যাচ্ছে। আবার অনেকে রাস্তা পার হচ্ছে। হঠাৎ একটি তরুণ ছেলেকে দেখলাম রাস্তা পার হতে গিয়ে আর একটু হলে অটোর কানা খাচ্ছিল বলে। মানে ধাক্কা লেগে যাচ্ছিল।       পরনে কেতাদুরস্ত পোশাক। স্মার্ট ছেলে দেখে মনে হয়। যে মুহূর্তে সে ধাক্কা খেতে যাচ্ছিল তখন আমার দৃষ্টি গেল ওর মুখের দিকে।      দেখি ওর দুই কানে মোবাইলের হেডফোন গোঁজা।       এখন প্রশ্ন, ওই স্মার্ট লুকের ছেলেটা কি আসলে একজন স্মার্ট ছেলে ছিল। যে সামান্য পথচলার মতো কাজে নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে ব্যর্থ হয়।     অটোর সাথে ধাক্কাটা লাগলে ওর মাথাটা আর হয়ত আস্ত থাকত না।      এই ঘটনা দেখে আমার শুধু একটা কথা মনে আসছে, শুধু ওই ছেলেটি নয়, ওর মতো কত ছেলে, কত মেয়ে, কত পুরুষ ...

Contact Us

Loading…